*মনের মানুষ* গিন্নী ছিলেন দিব্বি সুখে ঘরটি করে আলো, আন্ডা বাচ্চা সব-ই ছিল লাগলো না আর ভালো। ফেসবুকে তে হঠাৎ সেদিন তাগড়া সে এক ছেলে, হঠাৎ করে হাম্পি দিল পেয়ার দিল ঢেলে। গিন্নী মরেন সুখের ঠেলায় বয়স গেল কমে, মধ্য যামে হঠাৎ যেন Teen-age এল নেমে। সারা দুপুর ফুসুর ফুসুর, কর্তা তো নেই বাড়ী, ছোকরা বলে দেখবো তোমায় নচেৎ কিন্তু আড়ি। মনের সঙ্গে লড়াই হল গিন্নী গেলেন হেরে, সেজে গুজে অভিসারে চলেন দ্বিপ্রহরে। পার্কে গিয়ে খোঁজেন তিনি জন আব্রাহাম, নীল গেঞ্জি হ্যান্ডু ছেলে যেমন জানতাম। হঠাৎ দেখেন একটু দূরে পাশের পাড়ার মেসো, ষাটের কোঠায় বয়সখানি হেঁপো এবং কেশো। নীল গেঞ্জি পরনে তার কলপ করা চুলে, ইতি উতি খুঁজছে কাকে চোখ দুটি জুলজুলে।👀 কারেন্ট খেয়ে গিন্নী ফেরেন চিড়বিড়িয়ে জ্বলে, হৃদ্ মাঝারে প্রেমের পুতুল নেতিয়ে গেল গলে। এমন সময় হঠাৎ কে তার রাখলো কাঁধে হাত, চমকে দেখেন কর্তাটি তাঁর দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎ। ওষ্ঠ কাঁপে নয়ন ভেজে বাক্য নাহি সরে, এক নিমেষে গিন্নী পড়েন অঝোর ধারে ঝরে। সকল কথা শোনার পরে কর্তা বলেন হেসে, কপাল তোমার, কী আর করা, সেই কপালের দোষে , মনের মানুষ খুঁজে পেলে হেঁপো বুড়োর বেশে।।