*ভবিষ্যতের পশ্চিমবঙ্গ*

আগামী দশ বছর পর পঃবঙ্গ হবে একটি মুসলিম শাসিত রাজ্য।
🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋🕋

দেশভাগের পর এই প্রথম পঃবঙ্গে একটি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছে যা ভারতের ইতিহাসে এক নজির বিহীন ঘটনা।এই ভোট স্মরণ করিয়ে দিয়েছে পঃবঙ্গ আগামীদিনে একটি মুসলিম শাসিত রাজ্যের মর্যাদা পেতে চলেছে।এবারের বিধানসভা ভোটে মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা ৪২+১=৪৩ যা রাজ্যের মুসলিম ভোটের আনুপাতিক হারের থেকে কম।এবারের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু মুসলিম ভোটের উপর ভর করে নির্বাচিত হয়েছেন।তাই আগামী নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুসলিম জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে আসন বন্টন করতে হবে নইলে সমর্থন হারাতে হবে।এতদিন মুসলিমরা বাম কংগ্রেস শিবিরে বিভক্ত ছিল।এবারের নির্বাচনে মুসলিমরা প্রমাণ করেছে তাদের মিলিত  শক্তি আগামীদিনে পঃবঙ্গের সরকার গঠনে তারাই হবে মূল শক্তি আর অন্যরা হবে তাদের তাবেদার শক্তি।

পঃবঙ্গে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭২৮১০৭১০।এবারের নির্বাচনে কাস্টিং ভোটের সংখ্যা ৫৯৯০০৪২৬।এরমধ্যে তৃনমুল পেয়েছে ২৮৭৩৫৪২০ভোট শতকরা হার ৪৭.৯%আর বিজেপি পেয়েছে ২২৮৫০৭১০ভোট শতকরা হার ৩৮.১৩%
অন্যান্যদের ভোটের সংখ্যা ছিল ৮৩১৪২৯৬ পার্সেন্টেজ ১৪%।প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যানে বিজেপির থেকে তৃনমুল ৫৮৮৪৭১০ভোট বেশী পেয়েছে।এবারের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বিভিন্ন সূত্রমতে মুসলিম ভোট পড়েছে ৯৫%এরমধ্যে তৃনমুল পেয়েছে ৯১%।পঃবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা ২৭.০১%সংখ্যার হিসাবে ২৪৬৫৪৮২৫জন।আনুপাতিক হারে তাদের ভোটের সংখ্যা ১৯৬৬৬১৭২এরমধ্যে প্রাপ্ত ভোটের ৯১%হিসাবে ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ১কোটি ৮০লক্ষ।অর্থাৎ টিএমসির প্রাপ্ত ভোট ২৮৭৩৫৪২০এর মধ্যে মুসলিম ভোট ১কোটি ৮০লাখ।এখন এই ১কোটি ৮০ লাখ ভোটার আগামী ৫বছরে বৃদ্ধি পেয়ে হবে প্রায় ২কোটি ৫০ লাখ।এই দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ ভোটারের আনুপাতিক আসন সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১১০।এই সংখ্যা হবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের প্রধান হাতিয়ার।তখন মুসলিম সম্প্রদায় বাম কংগ্রেসের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ছুড়ে ফেলে দেবে।তখন আজকের মিনি পাকিস্তান হবে ভবিষ্যতের পূর্ন পাকিস্তান।

এছাড়া আরো একটি পরিসংখ্যান বলছে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পঃবঙ্গ নিশ্চিত ভাবে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে পরিনত 
হবে।বর্তমানে পঃবঙ্গে ৯-১১বছর বয়েসীদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২০%।এরমধ্যে ৯%হিন্দু আর ১১% মুসলিম।মাত্র ১০ বছর পর ২০৩১ সনে এই বয়েসীরা ১৮বছর পেরিয়ে ভোটাধিকারের অধিকার পাবে।বর্তমানে পঃবঙ্গে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা যদি ৩০%ধরা হয় তাহলে আগামী ১০ বছর পর অর্থাৎ ২০৩১ সনে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৪১%এ।যদি তাই হয় তাহলে ২০৩১সনে পঃবঙ্গের নির্বাচনে ২৯৪ সিটের মধ্যে পার্সেন্টেজের হিসাবে তারা ১৭০/১৮০সিট দখল করবে।পঃবঙ্গে সরকার গড়তে লাগে ১৪৮সিট।সুতরাং মাত্র ১০বছর পর পঃবঙ্গ হবে একটি ইসলামিক রাজ্য।

শুধু জনসংখ্যা বৃদ্ধি নয় দেশভাগের পর থেকে এই বিশেষ সম্প্রদায় টিকে ভোট ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করে  জাতীয় কংগ্রেস কমিউনিস্ট পার্টি এবং তৃনমুল কংগ্রেস দেশের অখন্ডতা নিরাপত্তা এবং ভারতীয় ঐতিহ্যকে বিসর্জন দিয়ে পঃবঙ্গকে একটি বিপদজনক রাজ্যে পরিনত করেছে।অলিখিত ভাবে পঃবঙ্গের পুলিশের উপর এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।যার কিছু রেকর্ডেট নজির আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।>>>>><<<<<<<<

আজ থেকে ৩৭বছর আগে তখন বামেদের জামানা ১৯৮৪সাল।দোলের দিন কলকাতার মিনি পাকিস্তান মেটিয়াবুরুজের মাটিতে মুসলিম জেহাদিদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন একজন সৎ নির্ভীক সাহসী পুলিশ অফিসার DC port IPS শ্রী বিনোদ কুমার মেহতা।সেদিন বধ্যভূমিতে অভিমন্যুর মতো একটি রডের আঘাত আছড়ে পড়েছিল তার মাথার উপর।টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলেন মাটিতে খুলে গেল মাথার হেলমেট।বলতে লাগলেন আমি ডিসি পোর্ট তোমরা আমাকে মেরো না।কিন্তু উপর্যুপরি রড ছুড়ি চাপাতি আর ইসলামি তলোয়ারের আঘাতে তার শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।নিষ্প্রাণ রক্তাক্ত নিথর দেহটি ইউনিফর্ম খুলে নিরাভরণ দেহটি ফেলে দিয়েছিল আটাবাগের একটি কাঁচা নর্দমায়।দেহটি উদ্ধার হয়েছিল কিন্তু যেহেতু ঘটনায় একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের নাম জড়িত তাই সব অপরাধী অধরাই থেকে গিয়েছিল।শোনা যায় এর নেপথ্যে ছিল বাম ফ্রন্টের খাদ্যমন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামস।
<><><><><><>>>><>
গার্ডেনরিচের হরিমোহন কলেজে নির্বাচনের দিন প্রকাশ্য দিবালোকে ইনস্পেক্টর তাপস চৌধুরীকে গুলি করে মারা হয়েছিল।সে ঘটনায়ও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের নাম জড়িত ছিল।এই কেইসে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত কুমার পঞ্চনন্দা পুলিশী তৎপরতা চালাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয়েছিলেন।
<><><><><><><>>><>>
CAA আন্দোলনের সময় একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকেরা সারা রাজ্য অচল করে দিয়েছিল।তারা আস্ত দুটি ট্রেন পুড়িয়ে দিয়েছিল রেললাইন উপড়ে একাধিক স্টেশনে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছিল।এদের বিরুদ্ধে পুলিশ একটি FIR ও করেনি।অথচ এই নাশকতার সাথে দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জড়িত ছিল।এর পিছনে ছিল একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে দেশবিরোধি কাজে উৎসাহিত করা।
<><>>><><><><>>><><
১৭জুন ২০১৭ ভাঙরে পাওয়ার গ্রীড নির্মান নিয়ে বিরোধিতায় সেখানকার বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকেরা পথ অবরোধ করেছিল।পুলিশ অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয়।জেহাদিরা ১০টি পুলিশের গাড়ি পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছিল।পুলিশ উর্দি খুলে পালিয়েছিল।কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা শোনা যায়নি।

<><><><><><>><><>>
২৮নভেম্বর ২০১৪ সেদিন জামাতে উলেমা হিন্দের নেতা সিদ্দিকুল্লা কলকাতার ময়দানে জনসভার নামে করেছিল এক তান্ডব।সেই তান্ডবে ৩জন IPS সহ ১১জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত ১১টি গাড়ি ভাঙচুর এবং IPS অফিসাররা দৌড়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্লাব তাবুতে।পুলিশ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।

<><><><><>>><><>><>>
২০অক্টোবর ২০১২ রাজাবাজার ট্রাম ডিপোর সামনে বাস চাপা পড়ে একজন স্থানীয় বাসিন্দা মহন্মদ আকিল মারা যান।শুরু হল তান্ডব ৮৬টি বাস ১১টি গাড়ি ২টি ট্রাম ভাঙচুর হল।পুলিশ ছিল দর্শক।

>><><><><><><><><><><

নীলরতন হাসপাতালের কথা ভুলে গেলেন?সেদিন সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহুর্তের মধ্যে ৫ট্রাক ভর্তী দুধেল গাই এসে যে তান্ডব চালিয়েছিল তা এত তাড়াতাড়ি কলকাতার মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

<><><><><><><<><>
১লা ডিসেম্বর ২০১১ মগরাহাট থানার নৈনান গ্রাম মুসলিম অধ্যুষিত।রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের আধিকারিকরা গিয়েছিলেন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে।গ্রামবাসীরা বিদ্যুৎ কর্মীদের আটকে রাখে।পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশ আক্রান্ত হয় এবং বাধ্য হয় গুলি চালাতে।এতে ২জন গ্রামবাসী নিহত হয়েছিল।এটি ছিল একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।কিন্তু এই জন্য ৩জন পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড হয়েছিল।

<><>>><><><><><><><><
১৩জানুয়ারি ২০১৬ রেড রোডে ২৬ শে জানুয়ারি উপলক্ষে চলছিল কুচকাওয়াজের মহড়া।হঠাৎ একটা OD Q7 গাড়ি দ্রুত এসে সেনাবাহিনীর জওয়ানের উপর তুলে দেয়।এতে মারা গিয়েছিলেন বিমান বাহিনীর উইংকমান্ডার অভিমন্যু গৌড়।এই কেসে ৫৭জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান রেকর্ড করার পরও আসামি খালাস পেয়ে গিয়েছিল।

<><><><><>>>>>>>>
২রা মে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন কলকাতার বেলেঘাটার অভিজিৎ সরকারকে যেভাবে খুন করা হয়েছিল তার লাশ এখনো মর্গে পড়ে রয়েছে।সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট অভিজিতের মরদেহ দ্বিতীয় বার বিশেষ ব্যবস্থাধিনে পোস্টমর্টেম করার আদেশ দিয়েছেন।কিন্তু এখনো কার্যকরী হয়নি।

মাত্র এক সপ্তাহ আগের ঘটনা কুল্টিতে আরমান নামে এক দাগী আসামীকে পুলিশ রাতে তুলে নিয়ে এসেছিল।পরের দিন সে পুলিশ কাস্টডিতে মারা যায়।প্রতিবাদে পুলিশ ফাড়ি আক্রান্ত এবং ৪/৫টি গাড়িতে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ।২জন পুলিশ সাসপেন্ড।

এগুলো যদি একটি গনতান্ত্রিক সভ্য দেশের বিধিবিধান হয়ে থাকে তাহলে কিছু বলার নেই।আর যদি না হয়ে থাকে তাহলে যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন নইলে পালানোর পথ পাবেন না।।


Comments

Popular posts from this blog

"হে মোর দুর্ভাগা দেশ"

’মরুবৃক্ষ'

"মনের মানুষ"